যে হার্ডওয়্যার ডিভাইসগুলো কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফ্যাক্স মেশিন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোকে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়, তাকে নেটওয়ার্ক ডিভাইস বলে।
অর্থাৎ কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য যেসকল যন্ত্রাংশ একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, সেসকল যন্ত্রাংশকে নেটওয়ার্ক ডিভাইস বলে।
নেটওয়ার্ক ডিভাইসের প্রকার
নেটওয়ার্ক ডিভাইস (Network Devices) হলো এমন ডিভাইস যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডেটা ট্রান্সমিশন, রিসিভিং, এবং নেটওয়ার্ক সংযোগ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এই ডিভাইসগুলো নেটওয়ার্ক স্থাপন, পরিচালনা, এবং ডেটা সংযোগ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো বিভিন্ন ধরনের, এবং তাদের কাজ ও কার্যকারিতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা যায়।
১. হাব (Hub):
২. সুইচ (Switch):
৩. রাউটার (Router):
৪. গেটওয়ে (Gateway):
৫. মডেম (Modem):
৬. অ্যাক্সেস পয়েন্ট (Access Point):
৭. ব্রিজ (Bridge):
৮. ফায়ারওয়াল (Firewall):
৯. রিপিটার (Repeater):
১০. অ্যাক্সেস কন্ট্রোলার (Access Controller):
১১. মিডিয়া কনভার্টার (Media Converter):
১২. লোড ব্যালেন্সার (Load Balancer):
১৩. ডিএনএস সার্ভার (DNS Server):
১৪. প্রক্সি সার্ভার (Proxy Server):
১৫. ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (International Gateway):
১৬. ইন্টারফেস কনভার্টার (Interface Converter):
১৭. নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ (NAS):
১৮. ভিপিএন গেটওয়ে (VPN Gateway):
১. সংযোগ স্থাপন:
২. ডেটা ট্রান্সমিশন এবং রিসিভিং:
৩. নিরাপত্তা:
১. কনফিগারেশন জটিলতা:
২. সিগন্যাল এবং ডেটা লস:
৩. খরচবহুল:
নেটওয়ার্ক ডিভাইস হলো এমন ডিভাইস যা নেটওয়ার্ক সংযোগ এবং ডেটা ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে। এগুলো নেটওয়ার্ক কার্যকারিতা, সংযোগ স্থাপন, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়। যদিও নেটওয়ার্ক ডিভাইসের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এগুলো নেটওয়ার্ক কার্যকারিতাকে উন্নত করতে সহায়ক।
হাব (Hub) হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা নেটওয়ার্কের মধ্যে বিভিন্ন ডিভাইস বা কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর এবং সংযোগ স্থাপনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি সাধারণ নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা একাধিক ডিভাইসকে একসঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং তাদের মধ্যে ডেটা বিনিময় করতে সহায়ক। তবে এটি স্মার্ট ডিভাইস নয়, অর্থাৎ এটি ডেটা ফিল্টারিং বা ডেটা প্যাকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
১. ডেটা সম্প্রচার (Broadcasting):
২. মাল্টি-পোর্ট ডিভাইস:
৩. লেয়ার ১ ডিভাইস:
১. প্যাসিভ হাব (Passive Hub):
২. অ্যাক্টিভ হাব (Active Hub):
৩. স্মার্ট হাব (Smart Hub):
১. সহজ স্থাপন:
২. কম খরচ:
৩. বহু ডিভাইস সংযোগ:
১. স্মার্ট ফিল্টারিং বা রাউটিং ক্ষমতা নেই:
২. নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি:
৩. নেটওয়ার্ক কর্মক্ষমতা হ্রাস:
হাব (Hub) হলো একটি সহজ নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা বিভিন্ন ডিভাইসকে একত্রে সংযুক্ত করতে এবং ডেটা সম্প্রচার করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ছোট নেটওয়ার্ক বা হোম নেটওয়ার্কে সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে কাজ করে, তবে এটি নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষমতায় সীমাবদ্ধ। আধুনিক নেটওয়ার্কে হাবের পরিবর্তে সুইচ এবং রাউটারের মতো উন্নত ডিভাইস বেশি ব্যবহৃত হয়, যা কার্যক্ষমতা এবং নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়ক।
সুইচ (Switch) হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান বা ডেটা প্যাকেট ফরওয়ার্ড করে। এটি একাধিক কম্পিউটার, প্রিন্টার, এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে এবং তথ্য প্রেরণ করে। সুইচ একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে কার্যকরীভাবে ডেটা ট্রাফিক পরিচালনা করে এবং ডেটা প্যাকেটকে তার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পথ নির্দেশ করে।
১. ডেটা ফরওয়ার্ডিং:
২. ডেটা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ:
৩. নেটওয়ার্ক সেগমেন্টেশন:
১. আনম্যানেজড সুইচ (Unmanaged Switch):
২. ম্যানেজড সুইচ (Managed Switch):
৩. স্মার্ট সুইচ (Smart Switch):
৪. PoE সুইচ (Power over Ethernet Switch):
১. ফ্রেম গ্রহণ:
২. MAC টেবিল আপডেট:
৩. ফ্রেম ফরওয়ার্ডিং:
৪. ফ্রেম ফিল্টারিং:
১. দ্রুত এবং নির্ভুল ডেটা প্রেরণ:
২. নেটওয়ার্ক ট্রাফিক হ্রাস:
৩. নিরাপত্তা বৃদ্ধি:
৪. নেটওয়ার্ক মনিটরিং এবং ম্যানেজমেন্ট:
১. খরচ:
২. কনফিগারেশন জটিলতা:
৩. নেটওয়ার্ক কোলিশন:
সুইচ হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা ডেটা প্যাকেট সঠিক ডিভাইসে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এটি নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সুইচের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন আনম্যানেজড, ম্যানেজড, স্মার্ট, এবং PoE সুইচ। যদিও ম্যানেজড সুইচ শক্তিশালী এবং কার্যকর, তবে সেগুলোর কনফিগারেশন জটিল এবং খরচও বেশি হতে পারে।
ব্রিজ (Bridge) হলো একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, যা দুটি বা তার বেশি নেটওয়ার্ক সেগমেন্টকে সংযুক্ত করে এবং তাদের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফার পরিচালনা করে। এটি নেটওয়ার্কের বিভিন্ন অংশকে একটি একক নেটওয়ার্কে একত্রিত করে এবং ডেটা ফ্রেম ফিল্টার করে। ব্রিজ সাধারণত একই ধরনের নেটওয়ার্ক (যেমন দুটি ইথারনেট নেটওয়ার্ক) সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি MAC ঠিকানা ব্যবহার করে ডেটা ট্রান্সমিশন নিয়ন্ত্রণ করে।
১. নেটওয়ার্ক সেগমেন্ট সংযুক্ত করা:
২. ফ্রেম ফিল্টারিং:
৩. ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনা:
৪. কোলিশন ডোমেইন বিভাজন:
১. সিম্পল ব্রিজ (Simple Bridge):
২. মাল্টি-পোর্ট ব্রিজ (Multi-Port Bridge):
৩. ট্রান্সপারেন্ট ব্রিজ (Transparent Bridge):
৪. ব্রিজিং রাউটার (Brouter):
১. নেটওয়ার্ক এক্সটেনশন:
২. ডেটা ট্রান্সফার নিয়ন্ত্রণ:
৩. সংঘর্ষ কমানো:
৪. নির্ভরযোগ্যতা:
১. দ্রুতগতির সীমাবদ্ধতা:
২. নেটওয়ার্ক ট্রাফিক জটিলতা:
৩. IP অ্যাড্রেস রাউটিং সমর্থন করে না:
১. ছোট নেটওয়ার্কের জন্য:
২. কেবল হোম বা অফিস নেটওয়ার্কে ব্যবহার করুন:
৩. MAC অ্যাড্রেস ফিল্টারিং ব্যবহার করুন:
ব্রিজ হলো একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, যা এক বা একাধিক নেটওয়ার্ক সেগমেন্ট সংযুক্ত করে এবং ডেটা ট্রান্সফার নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সংঘর্ষ কমায় এবং নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ছোট এবং মাঝারি নেটওয়ার্কের জন্য ব্রিজ একটি কার্যকরী সমাধান, তবে বড় নেটওয়ার্কে সুইচ বা রাউটার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
গেটওয়ে (Gateway) হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। এটি প্রোটোকল, ডেটা ফরম্যাট, এবং নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচারের পার্থক্য নিরসনে একটি সংযোগ বিন্দু হিসেবে কাজ করে। গেটওয়ে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন নেটওয়ার্ক গেটওয়ে, ইন্টারনেট গেটওয়ে, ই-মেইল গেটওয়ে ইত্যাদি, যা নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. নেটওয়ার্ক সংযোগ:
২. প্রোটোকল কনভার্সন:
৩. সিকিউরিটি এবং ফায়ারওয়াল কার্যকারিতা:
১. নেটওয়ার্ক গেটওয়ে (Network Gateway):
২. ইন্টারনেট গেটওয়ে (Internet Gateway):
৩. ই-মেইল গেটওয়ে (Email Gateway):
৪. ক্লাউড গেটওয়ে (Cloud Gateway):
১. ভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ:
২. সিকিউরিটি এবং ডেটা ফিল্টারিং:
৩. ডেটা রূপান্তর এবং ফরম্যাটিং:
১. জটিলতা:
২. লেটেন্সি এবং গতি:
৩. সঠিক কনফিগারেশনের প্রয়োজন:
গেটওয়ে (Gateway) হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা দুটি বা ততোধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক এবং প্রোটোকল, ফরম্যাট, বা ডেটা স্ট্রাকচার পরিবর্তন করে ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করে। এটি নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং ডেটা রূপান্তর করতে কার্যকর, তবে এটি কনফিগারেশন এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয়।
রিপিটার (Repeater) হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা নেটওয়ার্ক সিগন্যালকে পুনরায় শক্তিশালী এবং সম্প্রসারিত করে। এটি সাধারণত তারবিহীন (Wireless) এবং তারযুক্ত (Wired) নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়, যাতে দীর্ঘ দূরত্বের নেটওয়ার্ক কানেকশন সঠিকভাবে এবং শক্তিশালীভাবে কাজ করতে পারে। রিপিটার সিগন্যালের দুর্বলতা বা ক্ষয় দূর করে, যা নেটওয়ার্কের দূরত্ব বাড়াতে এবং ডেটা ট্রান্সমিশনের মান উন্নত করতে সহায়ক।
১. সিগন্যাল রিসিভ করা:
২. সিগন্যাল পুনরুজ্জীবিত করা:
৩. সিগন্যাল ফরওয়ার্ড করা:
১. সিগন্যাল শক্তিশালীকরণ (Amplification):
২. সিগন্যাল ক্লিনিং (Noise Reduction):
৩. স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল প্রক্রিয়াকরণ:
১. অ্যানালগ রিপিটার (Analog Repeater):
২. ডিজিটাল রিপিটার (Digital Repeater):
৩. ওয়্যারলেস রিপিটার (Wireless Repeater):
১. নেটওয়ার্ক পরিসর বাড়ানো:
২. সিগন্যাল শক্তিশালীকরণ:
৩. নেটওয়ার্ক স্থায়িত্ব বৃদ্ধি:
১. কনফিগারেশনের জটিলতা:
২. সিগন্যাল ল্যাটেন্সি:
৩. সিগন্যাল ড্রপ:
রিপিটার (Repeater) হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা সিগন্যাল পুনর্জীবিত করে এবং নেটওয়ার্ক পরিসর বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সিগন্যাল শক্তিশালীকরণ এবং শোর হ্রাস করে নেটওয়ার্কের গুণমান বজায় রাখে। যদিও রিপিটার ব্যবহারে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে এটি নেটওয়ার্ক সংযোগ এবং ডেটা ট্রান্সমিশন উন্নত করতে সহায়ক।